রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

রোমাঞ্চকর ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ৬ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে; ১৮৪ রানের জবাবে শেষ ওভারে ১০ লাগলেও পাকিস্তান নিতে পারে মাত্র ৩ রান।

শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটা ছিল অলিখিত সেমিফাইনাল। ‘জয়’ ছাড়া ছিল না আর কোনো সমীকরণ। কঠিন হলেও সেই হিসাব চুকিয়েছে লঙ্কানরা। নাটকীয় জয় তুলে নিশ্চিত করছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল।

রাওয়ালপিন্ডিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে জয় পেতে শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের, কিন্তু তারা করতে পারে ৩। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৬ রানের জয় পায় লঙ্কানরা।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ফাইনালে ওঠার পথ কঠিন করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এরপর দ্বিতীয় দেখায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে ফেরে লড়াইয়ে। এবার পাকিস্তানকে হারিয়ে উঠে গেল ফাইনালেও।

বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর কামিল মিশরা ও কুশল মেন্ডিস মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ২৩ বলে ৪০ রান করে এলবিডব্লু হয়ে থামেন মেন্ডিস।

এরপর কুশল পেরেরা দ্রুত (৬) ফিরলেও মিশরা ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি থামেন ১৭তম ওভারে, আবরার আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৭৬ রান।

শেষদিকে জানিথ লিয়ানাগের ২৪ বলে ২৪ ও দাসুন শানাকার ১০ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে ১৮০ পেরোয় শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের হয়ে আবরার নেন ২ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় ২৯ রানে সাহিবজাদা ফারহানকে (৯) হারায় পাকিস্তান। একই ওভারে ডাক মেরে ফেরেন বাবর আজম। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুবও, আউট হন ১৮ বলে ২৭ রান করে।

আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফখর জামান আউট (১) হলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। তবে পঞ্চম উইকেটে সালমান আগা ও উসমান খান মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।

উসমান ২৩ বলে ৩৩ রান করে ফিরে গেলেও আগা ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তখনো শেষ ৭ ওভারে ৮২ রান লাগত পাকিস্তানের। আগা ও মোহাম্মদ নওয়াজ মিলে সেই সমীকরণ মেলানোর পথেই ছিলেন।

তবে ১৮তম ওভারে ১৬ বলে ২৭ রান করে নওয়াজ আউট হলে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় শ্রীলঙ্কা। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। আগের আট ওভারের প্রতিটিতে ১০ বা এর বেশি রান নেয়ায় সমীকরণ সহজই ছিল।

এছাড়া মাঠে ছিলেন ফিফটি করে ফেলা সালমান। তবে দিনটা ছিল শ্রীলঙ্কার, চামিরার সেই ওভারে ফাহিম আশরাফের উইকেট হারিয়ে ৩ রানের বেশি নিতে পারেনি পাকিস্তান। ৪৪ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান।

শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতেই ফাইনালে আবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তা ও শ্রীলঙ্কা।