আন্তর্জাতিক

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলতে চায় ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক

শেয়ারঃ

main

সংগৃহীত

গত বছর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাবেক প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির পরিবহণমন্ত্রী মিরি রেগেভ সিনাওয়ারের মরদেহ হামাসের কাছে হস্তান্তরের বদলে পুড়িয়ে ফেলার এই প্রস্তাব দেন। তার এই প্রস্তাব নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করছেন বলে জানা গেছে।


অতি-অর্থোডক্স ইসরায়েলি রেডিও স্টেশন কোল বারামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেগেভ বলেন, ‘আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যা করেছে, আমাদের ঠিক একই কাজ করা উচিত। আমি মন্ত্রিসভায় এ প্রস্তাব দিয়েছি। বলেছি, কিছু প্রতীক কখনো ফেরত দেওয়া উচিত নয়।”


প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনাদের অভিযানে প্রাণ হারান আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন। পরে তার মরদেহ সমুদ্রে ফেলে দেয় মার্কিন সেনারা।


সিনাওয়ারের মরদেহ ফেরত দিলে এবং সেটি কবরস্থ করলে মানুষের মধ্যে সহানুভূতি কাজ করতে পারে উল্লেখ করে ইসরায়েলি মন্ত্রীসভার এই নারী সদস্য আরও বলেন, ‘আমি মনে করি কিছু কিছু প্রতীক (মরদেহ) অবশ্যই ফেরত দেওয়া উচিত নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা জানি মধ্যপ্রাচ্যে এবং এই অঞ্চলে যা হয়, সেটি বিবেচনা করে আমি বলব কোনোভাবেই যেন সিনাওয়ারকে কবরস্থ না করা হয়।’


চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন, মিসর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময় সিনওয়ার এবং তার ভাই মোহাম্মদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল হামাস। তবে তাদের সেই দাবি শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।


ইসরাইল পূর্বে সিনওয়ারের মৃতদেহ ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, যা একটি গোপন সংরক্ষণাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।


এছাড়াও গত ৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাসের কাছে আটক ইসরায়েলি জিম্মি ও ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হয়। তবে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিএনএনকে নিশ্চিত করেন সিনওয়ার ও তার ভাইয়ের মৃতদেহ বর্তমান চুক্তির অংশ ছিল না।


প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলায় নেতৃত্বদানকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ার গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাফাহর তেল আল-সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়মিত সামরিক অভিযানের সময় নিহত হন। এরপর তার মরদেহটি নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা, যা একটি গোপন সংরক্ষণাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।


অন্যদিকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মোহাম্মদ দেইফ নিহত হওয়ার পর ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সামরিক শাখার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তবে চলতি বছরের মে মাসে খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালের নীচে একটি ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ডের ভেতরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মোহাম্মদ সিনওয়ারও নিহত হন।


সম্পর্কিত খবর