প্রবাস
ওমানে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি

সংগৃহীত
ঢাকের বাদ্য, উলুধ্বনি আর শঙ্খধ্বনির ধ্বনিতে অষ্টমী পূজার মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় ওমানেও শুরু হয়েছিল বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনব্যাপী এই আয়োজন বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
সনাতনী মতে, অকাল বোধনের পরদিন প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে দেবী ঘটে (পাত্রবিশেষ) অবস্থান নেন। পরে সেই ঘট, বেলপাতা ও নবপত্রিকা মূল মন্দিরে স্থাপন করা হয়। এভাবেই ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দেবীর কল্পারম্ভ সম্পন্ন হয়। ঢাক-ঢোল, কাঁসা, শঙ্খ আর ভক্তদের উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানানো হয় অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির জয়ের উদ্দেশে।
ভক্তরা পূজার সামগ্রী ও কাসার কলস নিয়ে আরব সাগর থেকে জল এনে পূজা মণ্ডপে অর্পণ করেন। ধর্মীয় আচারে ভক্তরা জানান, প্রবাসে থেকেও এ ধরনের আয়োজন আমাদের মনকে বাংলাদেশে টেনে নেয়। উৎসব মানেই মিলনমেলা।
এবারের দুর্গাপূজা ওমানের সাতটি প্রদেশে ছয়টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রবাসী বাঙালি হিন্দু কমিউনিটির উদ্যোগে। পূজাকে ঘিরে মন্দির ও মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছিল বর্ণিল সাজে। আয়োজকরা জানান, পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল যথেষ্ট।
এক নারী ভক্ত অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব শুধু পূজা নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অংশ। এখানে সবাই মিলেমিশে অংশ নেওয়ায় উৎসবের আনন্দ আরও বেড়ে যায়।






